Thursday, February 23, 2023

পূর্ণিমা সন্দর্শন

ভূমিকা:

   "দেবেভ্যস্তুর্ষিতেভ্যোহথ বোধিসত্ত্ব: ক্ষিতিং ব্রজন্ 

    উপপত্তিং প্রণিদধে কুলে তস্য মহীপতে :।।৪৮।।"

                   সৌন্দরনন্দ মহাকাব্য, দ্বিতীয় : সর্গ : 

বৌদ্ধগণের নিকট বৈশাখী ( বুদ্ধ পূর্ণিমাএকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং মহান তিথিরূপে গৃহীত হয়ে আসছে। তবে বঙ্গীয় বৌদ্ধগণ বৈশাখী পূর্ণিমা সম্পর্কে সম্যক ধারণার অধিকারী হলেও মহাতাপস, মহাকারুণিক ভগবান বুূ্দ্ধের জীবন দর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য পূর্ণিমার ঘটনা সমূহের প্রতি সেইরূপভাবে কৌতুহলাবিশিষ্ঠ হন না বা হওয়ার প্রয়োজনানুভব করেন না। তবে এক্ষত্রে তাদের অজ্ঞানতা বা অপর তৈর্থিকগণের মিথ্যাদৃষ্ঠি কেই দায়িকরা যেতে পারে। কারণ পালি সাহিত্যে এবং সংস্কৃত বৌদ্ধ সাহিত্যের ইতিহাস অত্যন্ত দীর্ঘ জঠিল।  সর্বোপরি উক্ত সাহিত্যের অধিকাংশ গ্রন্থ সমূহ অপ্রতুল তথা সহজলভ্য নয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে গ্রন্থ পাঠের ক্ষেত্রে অনীহার বিষয়টি লক্ষ্যণীয়। যাইহোকপুরাতত্ত্বের সাক্ষ্যপ্রমাণ, অভিলেখ, তাম্রশাসন এবং বিভিন্ন পন্ডিতগণের গবেষণালদ্ধ গ্রন্থসমূহ হতে ভগবান বুদ্ধের জীবন বৃত্তান্ত ইত্যাদির সঙ্গে পূর্ণিমার মর্মকথা কিভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে তা আজ প্রমাণিত।

কর্মজং লোক বৈচিত্র্যং চেতনা তৎকৃতং তত্

চেতনা মানসং কর্ম অজ্জে বাককায়কর্মণী।। ১।।"

                       অভিধর্ম কোশ, খন্ড -,১৩-৯।

পূর্ণিমা সন্দর্শন' বিষয় কি

এক অর্থে বলা যায় চন্দ্রর ১৬ কলা পূর্ণঅর্থাৎ পূর্ণিমার চন্দ্র। আর সেই তিথিবা পূর্ণিমা দিবস বলে। সন্দর্শন কথাটির বুৎপত্তি গত অর্থ হল সম্যকভাবে বিশ্লেষণউত্তমরূপে অবগত করা বা যথাযথ ভাবে অবলোকন বা দর্শন ( কোন একটি বিষয়কে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিচার বিশ্লেষণ করা) পূর্ণিমাকালে অনুষ্ঠিত (সংগঠিতভগবান বুদ্ধ এবং তাঁর ধর্ম সম্পর্কিত ঘটনাসমূহের সম্যকভাবে দর্শন তথা যথার্থ অর্থে বিচার বিশ্লেষণই হল 'পূর্ণিমা সন্দর্শন।

বৈশাখী পূর্ণিমা হতে ফাল্গুনী পূর্ণিমা পর্যন্ত ( সর্বমোট ১২টি পূর্ণিমা) সংগঠিত ঘটনা সমূহ গুলিকে ক্রমানুসারে লিপিবদ্ধ করলে বিষয়টি এই রূপে হয়:

বৈশাখী পূর্ণিমা:

সিদ্ধার্থের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ এবং মহাপরিনির্বাণ।

জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা:

শ্রাবস্তীতে ভগবান বুদ্ধের প্রথম ধর্মপ্রচার, সম্রাট অশোক পুত্র ভিক্ষু মহেন্দ্র স্থবির এর সিংহল যাত্রা।

আষাঢ়ী পূর্ণিমা :

সিদ্ধার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহনগৃহত্যাগ, ধর্মচক্রপ্রবর্তন, ঋদ্ধি প্রদর্শন, বর্ষাবাস অধিষ্ঠান।

শ্রাবণী পূর্ণিমা:

প্রথম বৌদ্ধ মহাসঙ্গায়ন( মহাসঙ্গীতি)

ভাদ্র পূর্ণিমা

ভিক্ষু সংঘে বিবাদ ভগবানের উপদেশ, তথাগতের একান্তবাস, হস্তীর সেবা এবং বানরের মধুদান। ভগবান বুদ্ধের জেতবনে প্রত্যাবর্তন ভিক্ষুদের স্রোতাপত্তি ফললাভ।

আশ্বিনী পূর্ণিমা

বিনয়কর্ম প্রবারণা।

কার্তিকী পূর্ণিমা:

রাজা অজাতশত্রু ভগবান বুদ্ধের শরণ গ্রহন, ধর্মসেনাপতি ভিক্ষু সারিপুত্র স্থবিরের নির্বাণ লাভ।

পৌষ পূর্ণিমা:

ভগবান বুদ্ধের সিংহল গমন।

মাঘী পূর্ণিমা:

ভগবানের আয়ুসংস্কার বিসর্জন।

ফাল্গুনী পূর্ণিমা:

ভিক্ষু সংঘ সহ ভগবান বুদ্ধের কপিলবস্তুগমন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্যনীয় যে ভগবান বুদ্ধের জীবন দর্শনের সঙ্গে কতক গুলি অর্বাচীন বিষয় সম্পৃক্ত হয়েছে যেগুলি নিছকই কল্পকথা মাত্র। বাস্তবিক অর্থে এই সকল ঘটনাগুলি কোনরূপে সামঞ্জস্য বা অর্থ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর বা দু:সাধ্য বটে। যেমন- তাবতিংস স্বর্গে মাতাকে দেশনার জন্য গমন ( আষাঢ়ী পূর্ণিমা),  তাবতিংস স্বর্গ হতে ভগবানের সাকাংশ্য নগরে অবতরণ ( আশ্বিনী পূর্ণিমা), বুদ্ধের সিংহল গমন ( পৌষ পূর্ণিমা)  সম্ভবত: উত্তরকালে মহাযান মার্গের উদ্ভব এবং বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তথাগত কে দেবত্ববাদ এর আসনে প্রতিস্থাপন উক্ত কল্পকথা গুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কারণ ভগবান বুদ্ধ কোনো কালেই লংকাগমন করেন নি। "সদ্ধর্মলংকাবতার সূত্র" (রচনাকাল অজ্ঞাতনামক সংস্কৃত বৌদ্ধ গ্রন্থে ভগবান বুদ্ধের লংকার গমনের বর্ণনা দৃষ্ট হয়।

এবং ময়া শ্রুতম্।  একস্মিন্ সময়ে ভগবালঙ্কাপুরে সমুদ্রমলয় শিখরে বিহরতি স্ম নানারত্ন গোত্র পুষ্পপ্রতি মন্ডিতে মহত। ভিক্ষু সংঘেন সাধ মহতা বোধিসত্ত্ব গনেন নানাবুদ্ধ ক্ষেত্রসনিপতি তৈ বোধিসত্ত্বৈর্মহাসত্ত্বৈ: অনেক সমাধি বশিতার লাভিঞা বুক্রীভিতৈ র্মহামতি বোধিসত্ত্ব পূর্বেগমৈ: সর্ববুদ্ধ পাণ্যভিষেকাভিপিক্তৈ: স্বচিত্ত দ্দশ্যগোচরপরিঞানার্থ কুশলৈনানা সত্ত্ব চিত্ত চরিত্র রূপনয়বিনয়ধারিভি: পঞ্চধর্মস্বভাব বিজ্ঞাননফরাত্ম্যাদ্বয়গতিগতৈ:।। "

 সদ্ধর্ম লংকাবতারসূত্রম্ ( রাবনাধ্যেষণাপরিবর্ত:    প্রথম:) 

মহাকবি অশ্বঘোষ বিরচিত ' সৌন্দরনন্দ মহাকাব্য' তে রাজকুমার সিদ্ধার্থের জন্মের পূর্ব সময়ের অলৌকিক ঘটনাসমূহ অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে।

স্বপ্নেহথ সময়ে গর্ভমাবিশান্তং দদর্শ সা।

ষড়দন্তং বারনং শ্বেতমৈরাবতমিবৌজসা।।৫০।।

সৌন্দরনন্দ মহাকাব্য ( রাজা শুদ্ধোদনদ্বিতীয় সর্গ:) 

তবে উক্ত বিষয়গুলির প্রাসঙ্গিতা আছে কি নেই তা বোধকরি এক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় নয় কারণ উত্তরকালে মূল বুদ্ধবচন ( স্থবিরবাদ বা থেরবাদ) হতে সম্পূর্ণ অর্থে পৃথক হয়ে মহাযান মতাদর্শে যে দেবত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার আঙ্গিক ছিল এইরূপ কল্পিত কাহিনী।

পূর্ণিমার বর্নণা প্রসঙ্গে বোধিসত্ত্ব মহাসত্ত্ব রূপে প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তির অভিপ্রায় হেতু পূর্ববর্তী বুদ্ধ দীপঙ্করের নিকট হতে সুমেধ তাপসের বুদ্ধত্ব প্রার্থনা এবং অনেক পারমী (বুদ্ধ করণীয় ধর্মের ত্রিংশ পারমী) সম্পূর্ণ করার পরে আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে মহামায়া দেবীর গর্ভে প্রতিসন্ধিগ্রহন সময়ানুসারে রাজকুমার সিদ্ধার্থ রূপে মহাসিংহনাদ সহ বোধিসত্ত্বের বজ্রনির্ঘোষ।

  " সর্বধর্মাশ্চ বুদ্ধত্বং ধর্মো নৈব কশ্চন।  

    শুক্লধর্মময়ং এচ্চ তৈস্তন্নিরূপ্যতে"।।

জৈষ্ঠ্য পূর্ণিমার বিষয়টি হল সামগ্রিক ভাবে এইরূপ

শ্রাবস্তীতে ভগবান বুদ্ধের প্রথম ধর্মদেশনা, সম্রাট অশোক পুত্র মহেন্দ্র স্থবিরের শ্রীলংকা গমন ইত্যাদি।

দীপবংশ ( পালি) গ্রন্থে মহেন্দ্র স্থবিরের শ্রীলংকা গমণের বিষয়টি অত্যন্ত কাল্পনিক ভাবে বর্ণিত হয়েছে। শ্রাবণী পূর্ণিমা সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে উঠে এসেছে প্রথম ধর্ম মহাসঙ্গীতি ' এবং ভিক্ষু আনন্দের অর্হত্ব লাভ সহ দ্বিতীয় হতে ষষ্ঠ ধর্ম মহাসঙ্গীতির বর্নণা। পালি সাহিত্যের ইতিহাসে ধর্ম মহাসঙ্গীতি সমূহের গুরুত্ব অপরিসীম।  কারণ ভগবান বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের অবতি বিলম্বের মূল বুদ্ধবচন সংরক্ষণ তথা সদ্ধর্মের চিরস্থায়ীতের অভিপ্রায়ে প্রথম ধর্ম মহাসঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয়। এই সঙ্গীতিতেই অভিধর্মবিনয় এবং সুত্তের সঙ্গায়ন হয়েছিল। যা উত্তরকালে ত্রিপিটক রূপে গৃহীত হয়।

ভাদ্র পূর্ণিমাকে বৌদ্ধগন মধু পূর্ণিমা বলে থাকেন। অন্যান্য পূর্ণিমার ন্যায় এই পূর্ণিমার গুরুত্ব ঐতিহাসিক ভাবে অপরিসীম। কারণ এই পূর্ণিমা তিথিতে শাখামৃগ কর্তৃক ভগবানকে মধুদান পারল্যেয় নাগ ( হস্তী) দ্বারা বুদ্ধের প্রতি সেবাদানের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ভগবান বুদ্ধের সদ্ধর্মের প্রতি তির্যক প্রাণীসমূহের শ্রদ্ধাভাব পোষিত হয়েছে।

শরণগমনত্রৈ বাচিকেন ষষ্টিভদ্রবর্গপূগোপসম্যাদিতানাম্। 

বুদ্ধং শরণং গচ্ছমি ইতি ত্রির্বচনেনোপসম্পত্।।

অবদানশতক, ব্যাখ্যা,৩৭৪-২৮।।

আশ্বিনী পূর্ণিমার অপরনাম মহাপ্রবারণা পূর্ণিমা বা প্রবারণা পূর্ণিমা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্যনীয় যে প্রবারণার গুরুত্ব তাৎপর্য কি?

পালি পবারণা শব্দ হতে প্রবারণা শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। বিনয়, সুত্ত এবং অভিধম্ম পিটকে ( বিনয় পিটক) প্রবারণা  শব্দের বুৎপত্তি গত অর্থ গল 'প্রবরণ' বা 'প্রবারণা ' অর্থে ত্রুটি নির্দেশ করার নিমিত্তে সনির্বন্ধ অনুরোধ। ভিক্ষুসংঘের বিশুদ্ধতা তথা নিন্দিত - অধর্মানুমোদিত বিনয় সমূহকে বর্জন করার প্রশ্নে ভগবান বুদ্ধের ধর্মচক্র প্রবর্তনের কিছু কাল পরে প্রবরণা বিধান প্রবর্তিত হয়েছিল।

ছন্দ-পরিশুদ্ধ উতুকখানং ভিকখু- গনণা ওবাদো।

উপোসখসস এতানি পুববকিচ্চন্তি বুচ্চতি।।"

    বিনয় পিটক, ভিকখু - পাতিমোকখ,পৃ:

কার্তিক পূর্ণিমার উল্লেখ্যনীয় বিষয় হল আশ্বিনী পূর্ণিমা হলে চলমান( ১মাস ব্যাপী) কঠিন চীবর দানের সমাপ্তি। উক্ত  দিবসে ভগবা বুদ্ধের অগ্রশ্রাবক এবং ধর্মসেনাপতি সারিপুত্র স্থবির নির্বাণ লাভ করেছিলেন। সর্বোপরি রাজা অজাতশত্রু এই তিথিতেই বু্দ্ধোপাসক হয়েছিলেন। নির্বাণ লাভের পূর্বে মহাপ্রাজ্ঞ সারিপুত্র ভগবান বুদ্ধের সন্নিধানে উপস্থিত হয়ে বন্দনা জ্ঞাপন পূর্বক বলেছিলেন-

ছিন্নোদানি ভবিসসামি, লোকনাথ মহামুনি,

গমনাগমনং নতিথ পচ্ছিমা অথং।। "

পৌষ পূর্ণিমার বিষয়টি অত্যন্ত প্রশ্নবোধক। ত্রিপিটক এবং বুদ্ধকালীন ভারতীয় ভূগোল ভগবাব বুদ্ধের সিংহল গমনের কোনোরূপ তথ্য পরিলক্ষিত হয় না। তবে সিংহলী বংশ সাহিত্য সম্পর্কিত নানাবিধ ( দীপবংশ, মহাবংশ) গ্রন্থে বিষয়টি দৃষ্ট হয়। ইতিপূর্বে যেহেতু বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সুতরাং পুন: আলোচনা অর্থহীন।

" অত্তদীপ বিহরথ, অন্তরনা অঞঞসরণা,

  ধম্মদীপ ধম্মসরণা অঞঞসরণা। "

বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে মাঘী পূর্ণিমা তিথি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তিথি রূপে পরিগণিত হয়েছে। তাৎপর্য পূর্ণ এই কারণে যে এই তিথিতেই ভগবান বুদ্ধ নিজ আয়ুসংস্কার বিসর্জন দিয়েছিলেন এবং আয়ু সংস্কার বিসর্জনের পূর্বে তিনি ভিক্ষু সংঘকে অন্তিমবার ৩৭ বোধিপক্ষীয় ধর্মদেশনা করেছিলেন।

অত ভগবান তিনমাস অতিবাহিত হওয়ার পরে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে মহাপরিনির্বাণ লাভ করে ভবসংস্কারকে চূর্ণ করেছিলেন। 

 

   'তুলমতুলং সম্ভবং

   ভবসঙ্কার মোসসজি মুনি

   অজঝত্ত রতো সহাহিতো

   অভিন্দি কবচমিবত্তসম্ভবতি।"

ফাল্গুনী পূর্ণিমার অপর নাম মিলন পূর্ণিমা। এই পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান তথাগত বুদ্ধত্ব লাভের সর্বপ্রথম কপিলবস্তুতে গমনপূর্বক নন্দ এবং রাহুলকে ভিক্ষু ধর্ম প্রদান সহ অন্যান্য জ্ঞাতিবর্গকে সদ্ধর্ম প্রতিস্থাপিত করেছিলেন-

   " উত্তিটঠে নপ্পমজেঝম ধম্মং সুচরিতং চরে

    ধম্মচারী সুখং চেতি অস্মিং লোকে পরমহি- চ।।"

এইভাবে পূর্ণিমা সন্দর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে ভগবান বুদ্ধ এবং সর্দ্ধম।  বিষয়টি কোনও ভাবেই পৌরানিক কাহিনী নয় এবং নয় কোনও গল্পকথার কল্পনা শ্রয়ী বিষয়। সুতরাং অধ্যয়ন, অনুশীলন দ্বারাই এই সন্দর্শনের গভীরে যাওয়া সম্ভব।

 -সুমনপাল ভিক্ষু।