Thursday, June 19, 2025

ভূমিকা


 

গৌতম বুদ্ধ খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ অব্দে শাক্য জনগোষ্ঠীর রাজধানী কপিলবাস্তুর নিকট লুম্বিনী বনে জন্মগ্রহণ করেন। এই স্থান বর্তমানে নেপাল দেশের অন্তর্গত এবং ভারতের সীমা হতে  মাইল দূরে অবস্থিত। এই স্থানে বৌদ্ধ সম্রাট অশোকের একটি অভিলেখ যুক্ত স্তম্ভ ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কৃত হয়েছে এবং উক্ত স্তম্ভে উৎকীর্ণ আছে- "হিদ বুধে জাতে তি" পালি ত্রিপিটকে শাক্যগণকে অভিমানী এবং বিশুদ্ধ জাতির ক্ষত্রিয় বলা হয়েছে

সুত্তনিপাত (..১৮-১৯গ্রন্থে গৌতম বুদ্ধের জাতি সংক্রান্ত বিবরণ এইভাবে দেখা হয়।

"উজু জনপদো রাজা হিমবন্তস্স পস্সতো।

ধনবিরিয়েন সম্পন্নো কোসলেসু নিকেতিনো।।

আদিচ্চা নাম গোত্তেন সাকিয়া নাম জাতিয়া।"

আবার 'বুদ্ধবংসগ্রন্থে (পৃ১৪গৌতম বুদ্ধের বংশ বৃত্তান্ত এই রূপে বর্ণিত হয়েছে-

"নগরং কপিলবত্থু মে রাজা সুদ্ধদনো পিতা,

ময়হং জনেত্তিকা মাতা মায়াদেবীতি বুচ্চতি।"।।১২২০।।

অর্থাৎআমার জন্মভূমি কপিলবাস্তু নগরপিতা শুদ্ধোদন নামক মহারাজাআমার জননী মায়াদেবী নামে খ্যাত।

হিমালয়ের তরাই অঞ্চলে স্থিত শাক্য জনপদ কোশলরাজার অধীনস্থ একটি গণরাজ্য ছিল যা বিঢ়ুরব-এর আক্রমণ পর্যন্ত প্রায় স্বাধীন ছিল। গণ-এর শাসনকার্য একটি সমিতি বা সভা দ্বারা পরিচালিত হত। এইরূপে মনে হয় গণ-এর একজন নির্বাচিত প্রধান প্রতিনিধি থাকত যাকে রাজার ন্যায় সম্মান প্রদান করা গণরাজ্যের প্রত্যেক্যটি ব্যক্তির মূল কর্তব্য ছিল। বুদ্ধের আত্মী-পরিজন সম্পর্কে উত্তরকালীন বৌদ্ধ গ্রন্থে (সংস্কৃতবিভিন্ন এবং পরস্পর বিরোধী অসামঞ্জস্য সূচনা পাওয়া যায়। যেমন মহাকবি অশ্বঘোষ বিরচিত 'বুদ্ধচরিতকাব্যে (২য় শতাব্দীতেসম্রাট কণিষ্কে সময়কালেগৌতম বুদ্ধের জীবন কাহিনীতে পুরাণমহাকাব্যনানামুনিরাজর্ষি এবং তাঁদের নানা উপাখ্যান এসে সম্পৃক্ত হয়েছে। যেমন- "তথাগতের উৎপত্তি হেতু তুষ্টবিশুদ্ধ প্রকৃতি শুদ্ধাধিবাস দেবগণ অনুরাগশূন্য হইয়াওদুঃখনিমগ্ন জগতের মঙ্গলের আশায় আনন্দি হইলেন।"।। ৩৯।।

তিনি প্রসূত হইলেহিমালয়রূপ শঙ্কুযুক্তা ধরণীবাতাহত নৌকার ন্যা চঞ্চল হইল এবং অভ্রশূন্য গগনমণ্ডল হইতে উৎপল  পদ্মের সহিত চন্দনা বৃষ্টি পতিত হইল।।।৪০।।

মনোজ্ঞ স্পর্শসুখকর সমীরণদিব্যবসন সমূহ বর্ষণ করিয়া প্রবাহিত হইলসেই একই সূর্য অধিকৃত প্রকাশ পাইল এবং অগ্নি অপরের চেষ্টা ব্যতিরেকে স্বতই মনোজ্ঞ সৌম্ শিখা ধারণ করিয়া জ্বলিয়া উঠিল। ।।৪১।।

রাজা শুদ্ধোদন পুত্রের এই অলৌকি জন্ম দেখিয়া স্বভাবত ধীর গম্ভীর প্রকৃতি হইলেও অতিশয় ব্যাকু হইয়া উঠিলেন। তাঁহার স্নেহপ্রবণ হৃদয় দ্রবীভূত হইল। চক্ষু ইতে আনন্দে  আশঙ্কায় অশ্রুধারা নিপতিত হইল। (এই অংশ সংস্কৃত পুঁথিতে পাওয়া যায় নাতিব্বতী অনুবাদের মধ্যে পাওয়া যায়।)

'মহাবস্তু নামক পালিগ্রন্থে গৌতম বুদ্ধের পিতা-মাতা এবং তাঁর পালিতা মাতা মহাপ্রজাপতি গৌতমীর পূর্ণ বিবরণ পাওয়া যায়। বিনয় পিটকে মহাপ্রজাপতি গৌতমীকে বুদ্ধে 'মাতৃস্বসাবলা হয়েছে।

বুদ্ধের জন্মকালীন 'আশ্চর্যাদ্ভূত ধর্মকথাকে প্রাচীন রূপে স্বীকার করা যায় না আর না তো অসিত ষির ভবিষ্যৎ বাণীকে ঐতিহাসিক বলে মনে করা হয়। সম্ভবত এই সকল বিষয়গুলি উত্তরকালে সংযোজিত হয়েছে

মহাকবি অশ্বঘোষ তাঁর 'বুদ্ধচরিতকাব্যে রাজকুমার সিদ্ধার্থের (বুদ্ধের পূর্বনামমহা-অভিনিষ্ক্রমণের বিষয়টিকে অত্যন্ত কাব্যিকতার সঙ্গে পরিবেশন করেছেন। 'বুদ্ধচরিতকাব্যের পঞ্চম সর্গে মূলপ্রতিপাদ্য বিষয় এইরূপ- "...তখন অন্য সকলের অদৃশ্যভিক্ষুবেশী এক পুরুষ তাঁহার সমীপে উপস্থিত হইলেন।” ।।১৬।।

রাজপুত্র তাঁহাকে প্রশ্ন করিলেন: "আপনি কে?" তিনি বলিলেন: "হে নরপুঙ্গবআমি জন্মমৃত্যু ভী শ্রমণ। মোক্ষ নিমিত্ত প্রব্রজ্যা গ্রহণ করিয়াছি।।।১৭।।

এই বলিয়া রাজপুত্রের দৃষ্টিগোচরেই তিনি আকাশে উত্থিত হইলেন। সেই (শ্রমণআকৃতিধারী পুরুষ ছিলেন অপরের মনোভাববেত্তা এক দেবতা। রাজকুমারের স্মৃতিজাগ্রত রিবার জন্য তিনি সমাগত হইয়াছিলেন। ।। ২০।।

২৯ বৎসর অবস্থাতে রাজকুমার সিদ্ধার্থ গৃহত্যাগ করে অনাগারিকতাকে স্বীকার করেছিলেন। এই ঘটনাকে অভিনিষ্ক্রমণ বলা হয়। দীঘনিকায় এর মহাপরিনিব্বান সুত্তন্ত-তে বলা হয়েছে-

"একুনতিংস বয়সা সুভদ্দয়ং পব্বজিং কি কুসলানুএসী।

বসানি পঞ্চাস্সমাধিকানি যতো অহং পব্বজিতো সুভদ্দ।।"

তবে ললিতবিস্তর এবং বুদ্ধচরিত- কাহিনী অত্যন্ত কাল্পনিক বলেই প্রতীয়মান হয়। ললিতবিস্তর তৃতী শতাব্দীতে সর্বাস্তিবাদী নিকায়ের দ্বিতীয় বুদ্ধ জীবনী।

ললিতবিস্তর হতে অবগত করা যায় যে অনেক পূর্বজন্মের অর্জিত পুণ্যফলের প্রভাবে 'বোধিসত্ত্ব' চিত্তে জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদির চিন্তার কারণে জীবনের অনিত্যতা সম্পর্কিত বিষয়গুলি প্রকট হয়েছিল থা তীব্র বৈরাগ্য এবং জিজ্ঞাসার প্রভাবে তিনি প্রকৃত মোক্ষলাভে সন্ধানে গৃহত্যাগ করেছিলেন। লিতবিস্তর- আরও উল্লেখ আছেতিনি ব্রহ্মর্ষি রেবতের আশ্রমেও বস্থান করেছিলেন। অশ্বঘোষ-এর বুদ্ধচরিত- অলাঢ় কালাম-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। কালাম-এর বিষয়ে নিকায় গ্রন্থে (অরিজিন অফ্ বুদ্ধিজম্পৃ৩৭৭-৩৭৮এইরূপে সূচনা পাওয়া যায় যে তিনি বোধিসত্ত্বকে 'আকিঞ্চনায়তননামক 'অরূপ মাপত্তি' শিক্ষা প্রদান করেছিলেন। কিন্তু অলাঢ় কালাম এবং উদ্দক রামপুত্রের মতাদর্শ বোধিসত্ত্বের নিকট মোক্ষলাভের প্রশ্নে ব্যর্থ বলে মনে হওয়ার কারণে তিনি তা পরিত্যাগ পূর্বক শিশুকালে অনুভূত ধ্যানকে স্মরণ করলেন এবং সেই ধ্যানকেই সম্বোধি লাভের ক্ষেত্রে নির্ধারণ করলেন। "তস মস্তমেতদহোসি অভিজানাভি খো পনাহং পিতু সক্কস্স কম্মন্তে সীতায় জম্বুচ্ছায়ায় নিসিন্নো বিবিচ্ছেব কামেহি... পঠম ঝানং উপসম্পজ্জ বিহরতা সিয়া নু খো এসো ময়ো বোধায়াতি তস্স মে সতানুসারি বিজানং অহোসি এসো  মগ্লো বোধয়তি।” (মজ্জিম নিকায়১ম খণ্ডপৃ২৪)।

বুদ্ধের জীবনী গ্রন্থ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় সুত্তপিটকে মধ্যম নিকায়ের প্রথম ভাগ মূল-পঞ্চাশ ২৬ নং সূত্র অরিয়পরিয়েসন সুত্তে।

উত্তরকালীন বৌদ্ধ পরম্পরা অনুসারে ধ্যান সংলগ্ন বোধিসত্ত্বকে মা এবং তাঁর সেনাদলের সঙ্গে যুদ্ করতে হয়েছিল। পালি বৌদ্ধগ্রন্থে 'মার'-এর উল্লেখ অবশ্যই পাওয়া যায় কিন্তু সম্বোধি প্রাপ্তির ক্রমবদ্ধ বিবরণে মার বিজয়ের স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায় না।  প্রসঙ্গে রিস্ ডেভিডস্-এর অভিমত হল- 'মার'-এর কথা একটি আধ্যাত্মিক বিষয়ের বাহ্য ইতিবৃত্ত রূপে চিত্রিত হয়েছে। পালি সাহিত্যে 'মার'-কে কামমৃত্যু অথবা সাংসারিক প্রলোভন রূপে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সুতরাং এক্ষেত্রে এই বিষয়টি স্পষ্টতর হয় যে জ্ঞানপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে এই সাংসারিক আকর্ষণের সঙ্গে যে আধ্যাত্মিক অন্তর্দ্বন্দ্ব অনিবার্য হয়তাকেই মার সংসর্গের কথা নামক একটি কল্পিত নাটকীয় বর্ণনা রূপে প্রস্তুত করা হয়েছে।

অতএব অতিশয় মূল্যবানত্রৈধাতুবিরক্তঅনুত্তর শান্তিদিগবেশী বোধিসত্ত্ব চতুর্থ ধ্যানে তাঁর বিশুদ্ধ এবং নিশ্চল চিত্তকে অভিনিহার দ্বারা রাত্রির তৃতীয় যামে তিন বিদ্যাকে প্রাপ্ত করে ঊষাকালে সর্বজ্ঞ সম্বুদ্ধ হন।

বুদ্ধঘোষ অনুসারে সম্বোধি লাভের পর বুদ্ধের প্রথম বচন ধম্মপদ- এই গাথাতে সংরক্ষিত আছে-  "অনেক জাতি সংসারং সংদ্ধাবিস্সং অনিব্বিসং গহকারকং গবেসন্তো দুক্খা জাতি পুনপ্পনং। গহকারক দিট্ঠোসি পুনগেহং  কাহসি সব্বাতে ফাসুকা গ্গা গহকুটং বিসঙ্খিতং বিসংঙ্খারগতং চিত্তং তণ্হানং খয়মজ্ঝগা।।"

বিনয় অনুসারে সম্বোধিলাভের পরে চার সপ্তাহ পর্যন্ত বুদ্ধ বিমুক্তি সুখ প্রতিসংবেদী হয়ে বজ্রাসনে (বর্তমান বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ার মহাবোধি বৃক্ষের সন্নিকটেউপবিষ্ট ছিলেন। মজ্ঝিমনিকা (খণ্ড পৃ২১৮-২১৯এবং সংযুক্ত নিকায় (খণ্ড পৃ১৩৬-৩৯হতে এই তথ্য পাওয়া যায় যে ম্বোধি লাভের পর বুদ্ধের মনে এই ভাবনার উদয় হয়- "অধিগতো খো ম্যায়ং গম্ভীরো দুদ্দসো দুরানুবোধো সন্তো পনীতো অতক্খাবচরো নিপুণো পণ্ডিত বেদনীয়ো।। আলয় রামা খো পনায় পজা আলয়রতা আলয়সম্মুদিতা। আলয়রামায়খো পন পজায়... দুদ্দসং ইদং ঠানং যদিদং ইদপ্পচ্চয়তা পটিচ্চসমুপ্পাদোইদং নি খো ঠান যদ্দুসং যদিদং... নিব্বানং। অহং চেব খো পন ধম্মং দেসেয়্যং পরে  মে  জানেয্যুং খো মস্স কিলমথো,... বিহেসা।"

পরম্পরা অনুসারে বুদ্ধের এই অনৌৎসুক্যকে অবলোকন করে ব্রহ্মা তাঁ সম্মুখে প্রকট হলেন এবং ভগবান বুদ্ধকে বন্দনা জ্ঞাপন পূর্বক বললেন- 'হে মহাকারুণিক আপনি ধর্মময় প্রাসাদ হতে শোকাবতীর্ণ জনগণকে অবলোকন করুন এবং ধর্মের উপদেশ প্রদান করুনকারণ আপনার ধর্মদেশনা উপলব্ধি করার মতো অনেক বিজ্ ব্যক্তিও সেখানে উপস্থিত আছেন।তখন ব্রহ্মার এই যাচনা শ্রবণ করে বুদ্ধ জীবকুলের প্রতি রুণার বশবর্তী হয়ে ধর্মদেশনা প্রদান স্বীকার করলেন। বস্তুত এই বিষয়টি মহাযান সিদ্ধান্তের আধ্যাত্মিক বিষয় রূপে গ্রহণ করা উচিত।

ভগবান বুদ্ধ তাঁর প্রথম ধর্মদেশনা ঋষিপত্তন মৃগদাব (বর্তমান ত্তর প্রদেশের সারনাথ)-তে পঞ্চবর্গীয় ভিক্ষুদের প্রতি প্রদান করেছিলেনযা 'ধর্মচক্র প্রবর্তননামে খ্যাত।

"যে ধম্মা হেতুপ্পবভা তেসং হেতুং তথাগতো আহ তেসং  যো নিরোধ এবং বাদী মহাসমনো।।"

বৌদ্ধ পরম্পরাতে সেই সকল স্থানে নাম প্রদত্ত হয়েছেযেখানে ভগবান বুদ্ধ প্রতিবর্ষ বর্ষাবাস ব্যতীত করেছিলেন। তার সূচি এইরূপ-

প্রথম বর্ষাবাস বারাণসীতে-দ্বিতীয় বর্ষাবাস হতে চতুর্ রাজগৃহতেপঞ্চম বর্ষাবাস বৈশালীতেষষ্ঠ বর্ষাবাস মঙ্কুল গিরিতেতাবতিংস লোকেসুসুমার (শিশুমারগিরির নিকট ভর্গ প্রদেশেকৌশাম্বীতে১০পারিলেয্যক বনে১১নালাগ্রামে১২বেরঞ্জতে১৩চালিয়গিরিতে১৪শ্রাবস্তীতে১৫কপিলবাস্তুতে১৬আলবীতে১৭রাজগৃহতে১৮চালিয়গিরিতে১৯. রাজগৃহতে। অতঃপর তিনি শ্রাবস্তীতে বর্ষাবাস ব্যতীত করেছিলেন। এই বিষয়ে তাবতিংস লোকের উল্লেখটি মহাযান পরম্পরা বলেই প্রতীয়মান হয়। কারণ প্রাচীন গ্রন্থে এর উল্লেখ পাওয়া যায় না। (অরিজি অফ বুড্ডিজম্পৃ২২৭-২২৮)

সম্বোধি লাভের পর ৮০ বর্ষ আয়ু পর্যন্ত ভগবান বুদ্ধ সদ্ধর্মের প্রচার-প্রসার কার্যে ভারতবর্ষে বিভিন্ন জনপদ পরিভ্রমণ করেছিলেন।

বুদ্ধচরিত মহাকাব্যের 'লুম্বিনী যাত্রিকনামক সপ্তদশ সর্গে ভগবান বুদ্ধের সদ্ধর্মের প্রচার-প্রসার কার্যের বিবরণ পাওয়া যায়। যা এইরূপবুদ্ধ উদায়ী এবং ছন্দককে দীক্ষা দিয়া ভিক্ষু করিলেন এবং সেই বন হইতে (রাজগৃহের নিকট বেণুবনভিক্ষুগণসহ প্রস্থান করিলেন। বুদ্ধ বহুস্থান পরিভ্রমণ করিয়া বহু ব্যক্তিকে ভিক্ষু করিলেন। ১৮।।

মহাপরিনির্বাণ সূত্র হতে এই তথ্ পাওয়া যায় যে ভগবান বুদ্ধ কুশীনগরের নিকট শালবনে ভিক্ষুসংঘে উপস্থিতিতে "বয় ধম্মা সংখারা অপ্পমাদেন সম্পাদেথা”-এই অন্তিম বাণী প্রদান পূর্বক মহাপরিনির্বাণে প্রবেশ করেছিলেন।

"... তস্মতিহানন্দ অত্তদীপা বিহরথ

অত্তসরনা  অনঞঞসরণা,

ধম্মদীপা ধম্মসরনা  অনঞঞসরণা।।"

এই অত্যন্ত ধার্মিক ভাষণে ভগবান বুদ্ধের ব্যক্তিত্বের অদ্ভুত রূ সজীবতর হয়ে উঠেছে।

শ্রী দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় বিরচিত 'ভগবান তথাগত বুদ্ধনামক গ্রন্থে ভগবান বুদ্ধের অহিংসাআধ্যাত্মিকতা এবং শিল্পচেতনার বিষয়টি অত্যন্ত সুচারুরূপে পরিস্ফুট হয়েছে। সুতরাং আমার পূর্ণ বিশ্বাস এই যে গ্রন্থটি উৎসাহী পাঠক তথা বিদ্যার্থীগণের নিকট অতিশয় লোকপ্রিয় হবে।

ভবতু সব্ব মঙ্গলং

সুমনপাল ভিক্ষু

প্রভাষকপালি বিভাগ এবং বৌদ্ধ অধ্যয়ন বিভাগ

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 

সংস্কৃত কলেজ  বিশ্ববিদ্যালয়।

No comments:

Post a Comment