সুমনপাল ভিক্ষু
"উত্তর আধুনিকতা বলতে বোঝায় সেই অবক্ষয় বা স্বেচ্ছাচারিতা হতে উত্তরণের প্রয়াসকে, সে অবক্ষয় বা স্বেচ্ছাচারিতা দোর্দন্ড প্রতাপবাতা আধুনিকতার আন্তাকুঁড়ে জন্ম লাভ করেন।
- আকিরা কুরোসোয়া!!
বিংশ শতকের অন্তিম লগ্নে বিশ্ব ব্যাপী ক্রমাগত অর্থনৈতিক মন্দা, মধ্য প্রাচ্যের তেলের বাজারকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিরতা, আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পণ্য গুলী বাজারে ব্যাপক ধস, বেকারত্ব ইত্যাদি পূঁজির বাজারে গভীর সংকট উৎপ্ন করলে পূঁজি তান্ত্রিক রাষ্টগুলি পূঁজি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে সেজ এবং উত্তর আমেরিকার বিকুত সংসকৃতি তথা ভোগ্য পন্যের বাজার উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। এই সময় কালে পণ্য গুলী শে বাজার সংসকৃতির উভের হয়েছিল, তা পূঁজির অভ্যন্তরীন বিন্দের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়েছিল।
আমরা জানি যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মার্কিন এবং সোভিয়েত রাশিয়া পূর্ব ইউরোপ তথা এশিয়ার বাজার গ্মেশের প্রতিযোগীতায় অবতীর্ন হলে 'বান্ডা লড়াই' এর সূত্রপাত হয়। ১৯৯০-৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়া উদ্যার অর্থনীতির পথ গ্রহন করলে (ভ্লাস্তনস পেরেস্ত্রোইকা) অচিরেই সোভিয়েত অর্থ নীতি ভেঙে পড়ে এবং ইউরেশিয়া ভূগ্মন্তে ১১টি স্বাধীন রাষ্ট্রের উভয়ের হয়।
যাই হোক, এই প্রসঙ্গ সম্পর্কিত আলোচনা করার পূর্বে একটু পশ্চাৎ গামী হওয়া প্রয়োজন, নতুবা মূল বিষয়টি কে পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আলোচনা করা সমভব হবে না।
বিংশ শতকের প্রথম দিকে বিখ্যাত ফরাসী দার্শনিক মিশেল ফুকো (১৯২৬ - ১৯৮৪ খ্রীঃ) এবং ড্যাক দোরিদা (১৯৩০-২০০৪খ্রীঃ) উত্তর- আধুনিকতা/পোষ্ট মর্ডানির্জম্ তত্ত্বের জন্ম দেন।
(২)
যদিও এই পোষ্ট মর্ডানিজম্ বা পোষ্ট কলোনিয়ার্লিজম বিষয় টি এখানে আলোচনা সমভব নয় তবুও বলা যায় যে এই তত্তব হতে উদার অর্থনীতি বাদের জন্ম হয়েছিল।
১৯৯১ খ্রীঃ আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার বা আই এম এফ ভারত কে দেউর্লিয়া রাষ্ট্র ঘোষণা করলে তৎকালীন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহ উদার অর্থনীতি ব্যবস্থা প্রচলন করেন। ফলে ভারতের বাজার বৈদেশিক সংস্থা গুলির নিকট উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে ভারতে ১৯৯৮-২০০০ খ্রীঃ ব্যাপক ভাবে মার্কিন পূঁজির অনুপ্রবেশ ঘটতে শুরু করে।
এই পূঁজির চুড়ান্ত অভিমূখ ছিল ভোগ্যপন্যের প্রতি। কিন্তু এই ভোগ্যপন্যের অভিমুখটি ভারত বর্ষের জনগনের বহুত্ববাদী খাদ্য এবং পোষাক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে বাধ্য করল। ফলে ভারত বর্ষের নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণী হতে আভূত এক নতুন শ্রেণীর জন্ম হল। খাদের কে বলা হল 'কালচারাল বাস্টার্ভ' এই শ্রেণীর হাত ধরে ভারতের কসমোপোলিটাণ শহর গুলিতে মার্কিণী কাষ্ট কুভ এবং ভারতীয় খাদ্য সংস্কৃতির এক উভেট সংমিশ্রণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত গতিতে প্রভাব বিস্তার করার ফলে ভারতের নগরায়ণের মধ্যে ও এল এক পরিবর্তন৷ অপর দিকে পিছু হটতে লাগল লোকায়ত খাদ্য সংস্কৃতি।
উইলিয়াম কটন (১৮শতক) বহু পৃুর্বেই বলেছিলেন- "ভারতের নৈসর্গিক সম্পদ (খনি, অরণ্য ও কুষিজাত বাম্পদ) আমেরিকার অপেক্ষা ও অধিক। এখানকার বানিজ্য ও বহু বিস্তৃতি। তথাপি ভারত অপেক্ষা অধুক দরিদ্র দেশ পৃথিবীতে আর নেই"।
তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে যে আমার কি বিশ্ব খাদ্যাভাস এবং সংস্কৃতিকে গ্রহন করব না। অথাই নিজেদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হব না। উত্তর হবে, অবশ্যই তা করব কিন্তু নিজেদের সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভাস কে বিসর্জন দিম্নে নয়। সর্বেপিরি ভারতের অর্থ নৈতিক পরিকাঠামো হতে সামন্ততন্ত্র এবং উপনিবেশ বাদ সম্পূর্ণ রূপে দৃরিভূত না হওয়ার ফলে এভ চাপিয়ে দেওয়া পশ্চিমা খাদ্যাভাস এবং সংস্কৃতি কতটা এই সন্দেহ থেকেই যায়। কিন্তু শহরাঞ্চলে ক্রমাগত বেড়ে ওরা কসঙ্গাপলিটান সংস্কৃতি এবং একটি জাতি ও তার সংস্কৃতিকে সবংস করার অভিপ্রায়ে অন্য ভাষা সংস্কৃতির ক্রমাগত অনুপ্রবেশ ( খাদ্যাভাস এবং আবার পখতি সহ) ও এর জন্যে দায়ী।
বিংশ শতক হতেই ভারতীয় গণ মাধ্যম গুলিতে পরিপূর্ণ ভাবে বৈদেশিক পূঁজি ভারতীয় মুৎসুদ্দি বুর্জোয়া দের মাধ্যমে বিকশিত হতে শুরু করলে একটি বিশেষ ভাষা এবং উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি তথা খাদ্যাভাস সম্পূর্ণ ভারতে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়। কিন্তু এই পরিকল্পনাতে
পশ্চিমা পূঁজি সন্দিহান হয়ে উঠলে ভারতীয় কর্পোরেট সংস্থাগুলি
ভয়ানক ক্ষতির সম্মুখীন হতে থাকে। ফলে তারা আন্তর্জাতিক
অর্থনীতির উপযোগীতা কে উপলব্ধি করে পশ্চিমা পূঁজির সঙ্গে শান্তিপূর্ণ
সহাবস্থান করতে বাধ্য হয়। এমতাবস্থায়
ভারতীয় পন্যের বাজার সম্পূর্ণ ভাবে পশ্চিমা পূঁজির নিয়ন্ত্রণে
চলে যায়।
একবিংশ শতকের প্রথম দিকে হতে ভারতীয় উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণী মল সংস্কৃতি এবং আন্তর্জাল ক্রয় বিক্রয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে যদিও তা ভারতীয় জনগনের ২৫ শতাংশ কিন্তু তবুও আন্তর্জাতিক অর্থনীতির মাপকাঠিতে সর্ববৃহৎ। কিন্তু কেন এি পরিবর্তন মুখীতা? এপ্রশ্নের সদুত্তর পেতে গেলে আমাদের মনে রাখতে হবে যে বার্গার বা নুডলস সংস্কৃতি অথবা সেই সব শেয়ালেরা (কালচারাল বাস্টার্ড) হল এমন এক সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক, যাখানে বিনোদন মাধ্যম, বিজ্ঞাপন ই হল নয়া শিক্ষাণীতি। সর্বোপরি বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এমন শিক্ষা পদ্ধতি এই শ্রেণীর হাতে তুলে দিয়েছে যে এক্ষেত্রে 'নব্য-প্রজন্ম' তাদের মস্তিষ্ক প্রথমলতা করে বিজাতীয় শিমন-সংস্কৃতি তথা খাদ্যাভাসকে গ্রহন করেছে।
বৃহৎ পন্য মুখী অর্থনীতি এমনই চায় যে এই নব্যপ্রজন্ম এবং যারা তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলির শতকরা ৪০ শতাংশ, তারা মেন বাজার অর্থনীতির তল্পি বাহকে পরিনত হোক। অর্থাৎ এমন একটি শ্রেণী উৎপন্ন করা মাতে সেই শ্রেণী সরাসরি ভাবে দক্ষিণ পন্থী সংস্কৃতি তে অভ্যস্ত হয়। বামপন্থী লেখক সন্তোষ রানা এই বিষয় টিকে বলেছেন বিরাট বিপরীত যাত্রা।
'ডায়াসপোরা' কথাটির অর্থ হল অভিবাসী। অর্থাৎ যে সকল জনগোষ্ঠী তার আসল জন্মস্থান বা মাতৃভূমি ত্যাগ পুর্বক অম্য রাজ্যে বা দেশে বসবাস করে।
পশ্চিমবঙ্গে 'ডায়াসপোরা' সংস্কৃতির আগমন হয় ১৯ শতকে অর্থাৎ বৃটিশ শাসন কালে। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর রেলপথ, টেলিগ্রাম, সড়ক নির্মান সহ কলকারখানা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেতে থাকলে উত্তর- পশ্চিম ভারত সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত হতে নানাবিধ ভাষাগোষ্ঠীর জনগণ কলকাতা এবং হুগলী- হাওড়া শিল্পাঞ্চল এসে বসতি স্থাপন করলে বাংলার চিরাচরিত সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভাষ ও ধর্মাচরন পদ্ধতির পরিবর্তন হতে থাকে ভারতের স্বাধীনতার পর এই অভিবাসীর সংখ্যা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকলে পশ্চিমবঙ্গের বানিজ্যিক শহর তথা ব্যবসা - বাণিজ্য এমন কি প্রশাসনিক পদগুলি অভিবাসীগের করায়ত্ব হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় উত্তর- পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতীয় খাদ্য- পোষাক ইত্যাদি ব্যাপকতা বাঙালী সংস্কৃতিকে গ্রাস করে ফেললে উগ্র- জাতিসওবার বীজ হতে বিষবৃক্ষ, উৎপাদনের বিষয়টি ও ক্রমশ ঘনীভুত হতে থাকে। আর এই অসন্তোষ এর বাতাবরণ কে ক্রমাগত উস্কে দিয়ে চলেছে ভারতের শাসক শ্রেণী। এই বিষয়টি শুধু বাংলার ক্রেত্রে প্রযোজ্য নয় মহারাষ্ট্র, দক্ষিণ ভারত এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের ক্রেত্রেও সমান ভাবে প্রযোজ্য।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ডায়াসপোরা (অভিবাসী) জনসংখ্যার একটি চালচিত্র প্রদান করা হল, যাতে বিষয়টি আরও পরিস্কার হয়।
পশ্চিমবঙ্গে অভিবাসী জনসংখ্যা (শতাংশ)।।
উত্তর ভারতীয় ৭.১৭%
পশ্চিম ভারতীয় (গুজরাতি, মারোয়ারী, পাঞ্জাবী) ৪.০৭%
উৎকল বাসী, সিন্ত্রি এবং পার্শী ২.০১%
নেপালী এবং গোর্খালী ০.০৭%
অন্যান্য ০.০২%
এই প্রসঙ্গে প্রয়াগ শুক্লা'র একটি ক্ষুদ্র রচনা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে (এন সি ই আর টি, হিন্দি পাঠ্যক্রম ৭শ্রেণী- 'খাদ্যাভাষের পরিবর্তিত প্রতিচ্ছবি')।
বিগত ১০-১৫ বছরে আমাদের খাদ্যাভাসের সংস্কৃতিতে এক বিরাট পরিবর্তন এসেছে। দক্ষিণ ভারতীয় খাদ্য এবং উত্তর ভারতীয় 'ধাবা' সংস্কৃতি পূর্ব ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। 'কাষ্ট ক্ষুভ' ও চাইনিজ নুভলস্ বিতত্তাপ্রিত রাঙ্গে ভারতের প্রতিটি শহর এবং গ্রমে বিদ্যমান। অর্থাৎ স্থানীয় ব্যজনের সাথে অন্য প্রদেশের ব্যজ্ঞত্তন পাক ও প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান এবং মধ্যবিত্ত জীবনের এই ভোজন বৈচিত্র তার অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
লেখক আরও বলেছেন যে খাদ্যাভাষের এই পরিবর্তিত সংস্কৃতি হতে সবথেকে অধিক প্রভাবিত হয়েছে নব্য প্রজন্ম, যারা লোকায়ত ব্যজ্ঞত্তনের সঙ্গে ঠিক ভাবে পরিচিত নয় ফলে অনেক স্থানীয় ব্যজ্ঞত্তন ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই বিষয়টি অবলোকন করা অত্যন্ত জরুরী যে 'স্থানীয় ব্যজ্ঞত্তন' কে যদি পুনরুদ্ধার না করা হয় তাহলে এক সময় এমন হবে যে ঐ সকল ব্যজ্ঞত্তন বড় বড় কোম্পানীর হাত ধরে প্যাকেট জাত হয়ে বাজারে উপস্থিত হবে নতুবা কালের তাড়নায় সংগ্রহ শালায় সংরক্ষিত হবে।
তিনি খেদোক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, অনেক স্থানীয় ব্যজ্ঞতনকে আমরা তথাকথিত আধুনিকতার কারনে ত্যাগ করেছি এবং পশ্চিমী খদ্যাভাষকে নকল করে এমন সব খাদ্য- পাণীয়কে গ্রহন করেছি যা আমাদেরে স্বাস্থ্য ইত্যাদির পক্ষে অনুকুল নয়।
এতো গেল খাদ্যাভাষ ইত্যাদি সম্পর্কিত অশনি সংকেত। এবার উত্তর আধুনিকতার গর্ভে লালিত তৃতীয় বিশ্বের একটি তথাকথিত বিকাশ থান দেশ ভারতবর্ষের নিম্ন- মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জীবন চর্চা সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক।
আমরা জানি যে ঔপনিবেশিক শাসনের গর্ভে লার্লিত হওয়ার ফলে ভারতবর্ষের বাজার অর্থনীতির গতিমুখ সর্বদা পন্যমুখী হয়েছে। ৭০ দশকে ভারতের সিনেমা শিল্পের হাতধরে জনগনের একাংশ মার্কিনী সংস্কৃতি (পাঙ্ক এবং ইয়াঙ্কি সংস্কৃতি) র অনুকরণ করতে শুরু করে। ৯০ দশকের শেষ দিকে ভারতীয় গণমাধ্যম গুলি সম্পূর্ণ ভাবে মার্কিনী সংস্কৃতির দালালে পরিনত হলে বিজ্ঞাপন সংস্কৃতির প্রালন হতে থাকে। এমতবস্থায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক শহর ও শহরতলি গুলিতে পন্যমুখী বাজার সংস্কৃতির প্রাদুর্ভাব ঘটলে ইউরোপীয় / মার্কিনী পোশাক শিল্পের এক বিরাট সমভাবনা ময় পরিস্থিতি তৈরী হয়। ২০-২১ শতকের মধ্যে এই বাজার ভারতীয় বস্ত্র শিল্পকে সম্পূর্ণ ভাবে বির্নষ্ট করে ইউরোপীয় পণ্য আমাদানী তথা ধারণের প্রতি মনোনিবেশ করতে থাকে। বর্তমানে তাঁতবস্ত্র শিল্পের অভিমুখ পতন্মোথী প্রায় এবং এই শিল্পের পুনরুজ্জীবিতের সম্ভাবনা সএই বললেই চলে। কিন্তু তবুও এদেশে কসমেটিক জাত পণ্য এবং উত্তর- আধুনিক পোশাক- পরিচ্ছদ' এর বাজার ক্রমবর্ধমান চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।
বর্তমানে এই শ্রেণীর ধারক- বাহক তথা পৃষ্ঠপোষক যে শ্রেণী, তাদের কে পঙ্ক বা ইয়াংঙ্কি সংস্কৃতির প্রেতাত্না বলা হয়। কারণ এই শ্রেণী সামন্ত সংস্কৃতি এবং উপনির্বেশবাদী সংস্কৃতির পরিমন্ডল দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। এদের নিকট মানবিক তথা সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয় টি সোনার পাথর বাটি মাত্র। এক্ষেত্রে কারনের প্রশ্নটি নৈব- নৈব চ। কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন :
"একবার মাটির দিকে তাকাও
একবার মানুষের দিকে°°°°°°।"
কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে কবির এই আহবান বর্তমানে সম্পূর্ণ ভাবে অন্তঃস্বার
শূন্যে পর্থবসিত হয়েছে, কারণ নৈব নৈব চ।
No comments:
Post a Comment