সুমনপাল ভিক্ষু
"আলোর ঠিকানা আঁধার সময়ে দিশারী হয়েছ তুমি
তোমার গরবে গরবিনী তাই জননী বঙ্গভূমি।"
আমরা এখানে সেই বরেণ্য মহাপুরুষের কথা আলোচনা করছি যিনি এই বঙ্গদেশে বৌদ্ধ কূলে জন্মগ্রহণ করে শুধুমাত্র বর্তমান বাংলাদেশের নয়, অধিকন্তু ভারতের, এশিয়ার ও তথা সমগ্র জগতের সকল দেশের জ্ঞানী গুণী ও চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গের নিকট বরণ্যে ও চিরস্মরণীয় হয়েছেন। সেই মহাপুরুষের শিক্ষা ও আদর্শ এখন বৌদ্ধ দেশসমূহে স্বীকৃত হতে দেখা যাচ্ছে। বাংলার বৌদ্ধ জগতের এই মহাপুরুষ এখন সমগ্র জগতের বন্দিত মহাপুরুষ।
জ্যোতিভাস্কর অগ্গমহাপণ্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি গোড়া থেকে শেষ পর্যন্তই রয়ে গেলেন সকল জগতের সকল মানুষের জন্য সর্বত্যাগী। বঙ্গদেশে কে এমন জন্মেছিলেন যিনি আমাদের মতো রক্ত মাংসের মানুষ হয়েও সকল রকমে মহাত্যাগী মহাপুরুষ স্বরূপ? কে তিনি, যিনি অতীশ দীপঙ্করের ন্যায় বঙ্গদেশে এসেই এখানকার বহু বহু শতাব্দীর মিথ্যা দৃষ্টির রুক্ষ মরুবক্ষে সদ্ধর্মের অমৃত ধারাটি বহিয়ে ছিলেন? কে তিনি, যিনি এই মর্ত্যের অন্ধকারে ভগবান বুদ্ধের দিব্য আলোক প্রবাহিত করতে চাইলেন, এবং তা যে সম্ভব তারও বাস্তব দৃষ্টান্ত বৌদ্ধ জগৎকে দেখিয়েছিলেন।
ইনি সেই স্বনামধন্য ও জগৎবরেণ্য মহাপুরষ, যিনি বৌদ্ধ জগতের নিকট 'ধর্মবংশ মহাস্থবির' নামে পরিচিত।
বঙ্গদেশের মাতৃগর্ভে এর পূর্বে এমন সর্বোজ্জ্বল কোহিনুর আর বুঝি একটিও জন্মায় নি। তাঁর জীবন বৃত্তান্ত কখনই সম্পূর্ণ অর্থে ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। সেই অসাধ্য সাধনের চেষ্টা না করে সংক্ষেপে যতটুকু বলা সম্ভব ততটুকুই এখানে বলব। তাঁর কর্মজীবন প্রত্যেক বৌদ্ধ মতাবলম্বীর অবশ্যই জানা উচিত।
তাঁর কথা আলোচনা করার পূর্বে প্রথমেই বলে রাখি তাঁর চরিত্রের দুটি প্রধান বিশেষত্বের কথা। এই দুটি বিশেষত্বকে তিনি গোড়া থেকেই নিজের জীবনে বজায় রেখে গেছেন। প্রথম কথা, শৈশব হতে তিনি স্পষ্ট অর্থেই অনুভব করেছিলেন যে, বুদ্ধানুসাসনকে প্রচার ও প্রসার করার জন্যই তিনি জন্মেছেন, দ্বিতীয় কথা, তিনি আরও উপলব্ধি করেছিলেন, স্বার্থ জিনিষটাকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করতে হবে। অর্থাৎ তিনি যা কিছু করবেন তা নিজের ভালোর জন্য বা নিজের সুবিধার জন্য নয়, তাঁর সব কিছু কাজই হবে বহু জনের সুখার্থে, হিতার্থে লোকানুকম্পায়। বলতে গেলে প্রথম জ্ঞানোন্মেষের সময় থেকেই এই দুটি ভাব তাঁর মনে বদ্ধমূল ছিল।
"যো হ বৈ দহরো ভিক্ষুঃ যুনক্তি বুদ্ধশাসনে।
প্রভাসযতীমং লোকম্, অপ্রান্মুক্তো যথা শশী।"
অর্থাৎ, যে ভিক্ষু তাঁর অল্প (ক্ষুদ্র) আয়ুতেই ভগবান বুদ্ধের উপদেশকে হৃদয়ঙ্গম করে নেয়, সে এই সংসারে নিজের প্রিয় জ্ঞান প্রকাশ সেইভাবে প্রসারিত করেন, যেমন মেঘযুক্ত আকাশে চন্দ্রমা প্রকাশিত হয় (ধম্মপদ, ৩৮২)।
এই অর্থে অগ্গমহাপণ্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির বঙ্গদেশের তমসাচ্ছন্ন সমাজের বুকে পূর্ণ চন্দ্রের ন্যায় প্রকাশিত হয়েছিলেন।
অপর অর্থে অগ্গমহাপণ্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির শ্রমণ সুকোমল রূপে পরিচিত হয়েছিলেন কেননা তিনি আসক্তি ক্ষয়ে ইহ জীবনে নিজ অভিজ্ঞান প্রভাবে অনাসক্তি পূর্ণ চিত্তবিমুক্তি ও প্রজ্ঞা বিমুক্তি লাভ করেছিলেন।
"মুখেন সংযতো ভিক্ষুর্মন্ত্রভানী হনুদ্ধতঃ।
দীপযত্যর্থধর্মো চ, মধুরং তস্য ভাষিতম্।।"
অর্থাৎ, যে ভিক্ষু মুখ (বাণী) হতে সংযত, মিতভাষী এবং বিনয়শীল, সেই বুদ্ধিমান ভিক্ষু ধর্ম এবং অর্থকে উত্তমরূপে বিবেচনা (ব্যাখ্যান) করতে পারেন, তাঁর ভাষণ (কথা) মধুর এবং কর্ণপ্রিয় হয় (ধম্মপদ, ৩৬৩)।
ধর্মবংশ মহাস্থবির ছিলেন বিনয়শীল এবং মিতভাষী। তিনি সকল সময় কায়-বাক মন্ত্রে সংযমীও ছিলেন।
অগ্গমহাপণ্ডিত আচার্য ধর্মবংশ তদানীন্তন বৌদ্ধ সমাজের অন্যতম বিচক্ষণ শীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন। তাঁর অদম্য প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম শহরের বুকে যে সুবৃহৎ বৌদ্ধ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে, তা আজও তাঁর কীর্তিস্তম্ভ স্বরূপ সগৌরবে বিরাজমান। তিনি সমগ্র চট্টগ্রাম বিভাগে বৌদ্ধ সমাজের মুখপাত্র রূপে যে সকল উত্তম মঙ্গল কর্ম সম্পাদন করেছেন, তা বৌদ্ধ জগতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তাঁর বিদ্যাবত্তা এবং কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসাবে বৃটিশ সরকার তাঁকে 'অগ্গমহাপণ্ডিত' উপাধিতে সম্মানিত করেছেন।
"ন পুষ্পগন্ধ, প্রতিবাতমেতি, ন চন্দনং তগরং মল্লিকা বা।
সতাং চ গন্ধঃ প্রতিবাতমেতি, সর্বা দিশাঃ সৎপুরুষঃ প্রবাতি।।"
অর্থাৎ, পুষ্প গন্ধ বায়ুর বিপরীতে গমন করে না, এই ভাবে চন্দন, টগর বা মল্লিকা (জুই)'এর গন্ধ ও বায়ুর প্রতিকূলে গমন করে না; কিন্তু সজ্জনের (শীলবান) গুণের প্রশংসা গন্ধ বায়ুর প্রতিকূলেও গমনে সমর্থ হয়। এইভাবে সজ্জন তাঁর শীলের কারণে সকল দিকে পরিব্যাপ্ত হয়ে সকলের প্রশংসা লাভ করে (ধম্মপদ, ৫৪)।
পণ্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির প্রকৃত অর্থে সজ্জন অর্থাৎ শীলবান ভিক্ষু। তিনি সকল সময়ে বুদ্ধানুশাসনকে পাথেয় করে আত্মদীপ হয়ে আত্মশরণ, অনন্যশরণ, ধর্মদীপ, ধর্মশরণ হয়ে বিচরণ করেছেন, কারণ তিনি উপলব্ধি করেছিলেন-
"যে ধম্মা হেতুপ্পভবা তেসং হেতুং তথাগতো আহ
তেসং চ যো নিরোধো এবং বাদী মহাসমনো।।"
বহমান কর্ণফুলী এবং শঙ্খের অববাহিকায় রক্তাক্ত অগ্নিস্নাত উপজেলা বোয়াখালি। বিপ্লবী সূর্যসেনের (মাষ্টারদা) জন্মভূমি ধলঘাটের পার্শ্ববর্তী গ্রাম বেঙ্গুরা। ক্ষুদ্র একটি বড়ুয়া বৌদ্ধ গ্রাম। সেই গ্রামের এক নিম্নমধ্যবিত্ত শিবচন্দ্র পরিবার। এক সময় জীবন জীবিকার অন্বেষণে তিনি উপনীত হলেন কলকাতার বড় বাজার এলাকায়। ১৮৭২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, জাতির জন্য এক মহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হল। শিবচন্দ্রের পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেন পরান কৃষ্ণ (প্রাণকৃষ্ণ)। বালক প্রাণকৃষ্ণ শৈশব হতেই অত্যন্ত মেধাবী এবং জিজ্ঞাসু ছিলেন। ফলে অসীম মেধাশক্তির অধিকারী প্রাণকৃষ্ণ একসময় কৃতিত্বের সঙ্গে উন্নীত হলেন নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে।
পিতা-মাত্র উদগ্র বাসনা এবং প্রাণকষ্ণের কঠোর পরিশ্রমের প্রভাবে তিনি অত্যন্ত কৃতিত্ত্বের পরিচয় দিয়ে সাফল্যের সঙ্গে এন্ট্রাস পাশ করলেন। ১৮৯০ সাল, কলকাতা ধর্মাঙ্কুর বিহার'এর সূচনাকাল। সেই শুভলগ্নে কর্মযোগী কৃপাশরণ মহাস্থবিরের বদন্যতায় ১৮ বছরের প্রাণকৃষ্ণ হলেন শ্রমন প্রাণকৃষ্ণ। বৌদ্ধ ধর্মের বিধান মতে শুরু হল তাঁর ধর্ম-বিনয় শিক্ষা। আরো উচ্চতর বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে প্রাণকৃষ্ণ ক্রমে উপনীত হলেন বৌদ্ধ প্রধান মায়ানমার (বার্মা) দেশের মৌলমীনে। এই শহরের বৌদ্ধ শিক্ষার অন্যতম পীঠস্থান বৈজয়ন্ত বিহারের বিহারাধ্যক্ষ সাগর মহাথের ছিলেন বিনয় অভিধর্মের মহাপণ্ডিত। তাঁর সাহচর্যে পুনঃ উপসম্পদা লাভপূর্বক প্রাণকৃষ্ণ শ্রমণ পরিচিত হলেন ভিক্ষু ধর্মবংশ নামে।
সেই সময় চট্টগ্রাম শহরে বৌদ্ধ বসতির সংখ্যা ছিল অত্যন্ত সীমিত। ফলে নব প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম বৌদ্ধ মহাবিহার পরিচালনার জন্য একজন দক্ষ এবং পালি ভাষাভিজ্ঞ সুপণ্ডিত ভিক্ষুর প্রয়োজন ছিল। সমিতির সভায় সভাপতি এবং সংঘরাজ আচার্য পূর্ন্নাচার মহাস্থবির ধর্মবংশ ভিক্ষুর নাম প্রস্তাব করলেন তা সানন্দে গৃহীত হয়। বিহারাধ্যক্ষ পদে ব্রতী হয়ে ধর্মবংশ ভিক্ষু উক্ত বিহারটিকে একটি আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার গঠনের কাজে মন দিলেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার প্রভাবে ভগবান বুদ্ধের পবিত্র কেশধাতু সংরক্ষণ, বিহার নির্মাণ, বুড়া গোঁসাই ঘর, ভিক্ষুসীমা ঘর, পালি কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং বিহারে চিন্তামণি পাঠাগার তথা বৌদ্ধ স্থাপত্য সংরক্ষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি ১৮৭৯ এবং ১৮৮৪ সালে তিব্বত গমন পূর্বক বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শন সম্পর্কিত বহু মূল্যবান গ্রন্থ সংগ্রহ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি বুড্ডিষ্ট টেক্সট' সোসাইটি গঠন করে বৌদ্ধ সাহিত্য রচনা ও বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারে ব্রতী হয়েছিলেন। উনিশ শতকে সদ্ধর্ম রক্ষা এবং প্রচারের ক্ষেত্রে যে সকল জ্ঞানী-গুণী বৌদ্ধ পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মহাপণ্ডিত ধর্মবংশ ভিক্ষু।
"যস্মিন্ সত্যং চ ধর্মশ্চ, অহিংসা সংযমো দমঃ।
স বৈ বান্তমলো ধীরঃ, স্থবির ইতি কথ্যতে।”
অর্থাৎ, যে সাধক পুরুষ সত্য, অহিংসা, শীল এবং ইন্দ্রিয় সংযম'এ পারঙ্গম। তাকেই বিকারযুক্ত (নির্মল), ধৈর্যশালী এবং স্থবির বলা হয় (ধম্মপদ, ২৬১)।
বৌদ্ধ পণ্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির বৌদ্ধ ধর্ম সমাজ স্থাপনের প্রশ্নে যেভাবে কর্ম সম্পাদন করেছেন, উত্তরকালে তা আমরা গ্রহণ করতে পারিনি। একথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। শুধু পারিনি যে তা নয়, তাঁর মহতী কর্মের সারতত্ত্বকে গ্রহণ করার পরিবর্তে কূপমণ্ডুক'এর ন্যায় বিচরণ করছি। সদ্ধর্মের আসনে মিথ্যাদৃষ্টিকে বরণ করে হয়তো নিজেকে সার্থক জ্ঞান করে নিশ্চিন্ত হয়ে আছি।
তার একটা কারণ, আমাদের মূল্যায়নের অভাব। আমরা প্রকৃত অর্থেই তাঁকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারি নি। আর এটাই আমাদের ব্যর্থতা। প্রকৃত অর্থে বলা যায় সত্যিকার তৃষ্ণা যার সে জলের জন্য ব্যাকুল হয়ে ফেরে, সে উপযুক্ত সুযোগ পেলে এক গণ্ডুষে পিপাসা নিবৃত্তি করে। কিন্তু যার পিপাসা নেই সে পিপাসার মমার্থ উপলব্ধি করবে কীরূপে? অগ্নমহাপণ্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির (১৮৯০-১৯৯৭) যেভাবে একদিন পরিপূর্ণ ভোগের মাঝখানে জেগে উঠে বিলাস মন্দিরের সমস্ত আলোকে অন্ধকার দেখেছিলেন। সেই দিন তিনি তৃষ্ণার্ত চিত্ত নিয়ে পিপাসা নিবারণার্থে দুর্গম পথে যাত্রা করেছিলেন। সেখান হতে তিনি আমাদের জন্য সদ্ধর্মরূপী অমৃত রস দুঃখ মুক্তির স্বার্থে নিয়ে এসেছিলেন। এইটি আমাদের বৌদ্ধ জাতির প্রত্যেকের লাভ। এই লাভ বিনষ্ট হবে না, শেষও হবে না। তিনি যে আমাদের প্রত্যেককে ডাক দিয়েছেন, সেই ডাকে সাড়া দিয়ে একেবারে সম্পূর্ণভাবে তাঁর মহতী কর্মের কাছে আত্মসর্ম্পণ করতে না পারলে কোনো মতেই আমাদের স্বার্থকতা নেই। পরিশেষে বলি-
ধ্যেয়ং সদা পরিভবস্মভীষ্টদোহং তীর্থাস্পদং সিববিরিঞ্জিনুতৎ শরণ্যম। ভৃত্যার্তিহং প্রণতপাল ভবান্ধি পোতং বন্দে মহাপরুষতে চরণাব বিন্দম্।।
ড জিনবোধি ভিক্ষু প্রণীত "জ্যোতিভাস্কর অগ্গমহাপণ্ডিত ধর্মধংশ মহাস্থবির" ইতিহাস সাক্ষ্য ও বৌদ্ধ শাসন সদ্ধর্মের এক জ্যোতির ফল্গুধারা। পচ্চুপন্ন চ অনাগত সংঘ সত্যিকার সদ্ধর্ম জাগ্রত তখনই হবে যখন অগ্গমহাপণ্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবিরের জীবন দর্শন চর্চা ও চর্যা নিজেদের জীবনে প্রায়োগিক বিদ্যায় প্রতিফলিত করতে পারবো। অলং ইতি বিত্থারেন।
সুমনপাল ভিক্ষু
অতিথি অধ্যাপক
পালি বিভাগ ও বৌদ্ধ বিদ্যা অধ্যয়ন বিভাগ, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ও অতিথি অধ্যাপক, পালি বিভাগ, সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কোলকাতা।
প্রবারণা পূর্ণিমা
২৫৬৯ বুদ্ধাব্দ
২০২৫ ইং।
No comments:
Post a Comment