Friday, July 18, 2025

চৈনিক বৌদ্ধ পরিব্রাজক ফা-হিয়েন ('ফা-শিয়েন')


 সুমনপাল ভিক্ষু

ভূমিকা

চৈনিক বৌদ্ধ পরিব্রাজক ফা-হিয়েন ('ফা-শিয়েন')

 

'ফা-শ্যেন' অর্থাৎ ফা-হিয়েন্ (আনুমানিক) ৩৩৭?- ৪২২ খ্রি. তৎকালীন চীনের পূর্বাঞ্চলের 'চীন' রাজবংশের সময়কালে বৌদ্ধভিক্ষু, পরিব্রাজকে এবং প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের অনুবাদকও ছিলেন। ফা-হিয়েন' এর গোত্র নাম ছিল 'কু' জন্মস্থান 'ফিয়াঙ'-এর উয়াত্ (বর্তমান গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের শানশী অঞ্চলের শায়াঙ-উয়ান চান্তী নামক প্রদেশে ছিল) তিনি চৈনিক বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধ্যে সর্বপ্রথম, যিনি বৌদ্ধধর্ম অধ্যয়ন করার উদ্দেশ্যে ভারত (তৎকালীন জম্বুদ্বীপের বিভিন্ন জনপদ এবং বৌদ্ধ বিহার) ভ্রমণ করেছিলেন। ৩৯৯-৪১৩ খ্রি. পর্যন্ত ১৪ বর্ষ সময়কাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ এশিয়াতে ক্রমশ ৩৫ হতে অধিক রাজ্য যাত্রা করেছিলেন। তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকালে ভারত হতে অনেক সংস্কৃত বৌদ্ধ সূত্র সংগ্রহ করে এনেছিলেন। তিনি অন্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সঙ্গে একত্রভাবে ছয়টি সংস্কৃত বৌদ্ধ সূত্রের অনুবাদ করেছিলেন এবং দক্ষিণ এশিয়া ভ্রমণকালে যা কিছু অবগত করেছিলেন তা তাঁর কৃতি 'বুদ্ধের দেশের যাত্রা বৃত্তান্ত' নামক গ্রন্থে সমাবিষ্ট করেছিলেন। এই কৃতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশের প্রাচীন ইতিহাস এবং ভূগোলের অধ্যয়নের প্রশ্নে এক গুরুত্বপূর্ণ সন্দর্ভ সামগ্রীরূপে পরিগণিত হয়ে রয়েছে। ১৯৫৭ খ্রি. এই যাত্রা বৃত্তান্তের ইংরেজি সংস্করণ চীন হতে প্রকাশিত হয়েছিল। যাত্রা বিবরণ, নাগরী প্রচারিনী সভা, কাশী।

ফা-হিয়েন এর খুতন হতে জীহো' দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে একথা বলা যায় যে তিনি কুচা হতে অগ্রসর হতে ইচ্ছুক ছিলেন না। সম্ভবত তিনি মনে করেছিলেন যে ভারতবর্ষ খুতন হতে পশ্চিম অঞ্চলে হবে কিন্তু যখন তিনি জীহো উপস্থিত হলেন তখন তিনি অবগত হলেন সে ভারতবর্ষ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। ফলে তিনি পামীর মালভূমি অতিক্রম করে জীহুন অঞ্চলের একটি প্রদেশে হতে কুচা উপস্থিত হন।

এখন প্রশ্ন উপস্থিত হয় সে এই কুচা কোন প্রদেশ ছিল। কুচা হতে ফা-শিয়েন পশ্চিম দিকে ৩০ দিন পর্যন্ত পর্বতীয় অঞ্চল। অতিক্রম করার পরে 'তোলেঃ' উপস্থিত হন এবং সেই স্থান হতে আরও অগ্রসর হয়ে সিন্ধুনদ অতিক্রম করে 'বৃচদ্গ' বা উদ্যান প্রদেশে উপস্থিত হয়েছিলেন, অতপর উদ্যান হতে দক্ষিণ এর পথে সুহোতো বা সুআত এসেছিলেন। যদিও ফা-হিয়েনের বিবরণে এটি লিপিবদ্ধ হয়নি সে উদ্যান হতে কত দিনে তিনি সুআত পৌঁছেছিলেন। তবে একথা বলা যায় সে উদ্যান প্রদেশে সিন্ধু নদের উপস্থিতি নেই। সুতরাং একথা সত্য যে ফা-হিয়েন অন্য কোনো নদী অতিক্রম করেছিলেন।

নাগরী প্রচারিনী সভা, কাশী হতে প্রকাশিত 'ভারতবর্ষের জনপদাদির ইতিহাস' নামক গ্রন্থে এইরূপ বিবরণ দেখা যায়-

' প্রাম্মুখো রাজগৃহাদভিনির্যায় বীর্যবান্

ততঃ সুদামাং দ্যু তিমান্সংতীয়বিক্ষ্য তাং নদীম্।।

হ্রাদনীং দূরপারাং প্রত্যক্ স্রোতস্তরঙ্গিনীম্ শত দ্রুমতরচ্ছীমান্নদীমিক্ষবাকুনন্দমনঃ।।

এলঘাতে নদীং তীত্বা আগনেয়ং শল্যকর্ষনম্

শীলামাকুর্বতীং তীর্জা প্রাপ্য চামরপর্বতাম্।।

সত্যসংঘঃ শুচিভূত্বা প্রেক্ষমানঃ শিলাবহাম্

অভ্যাগৎস মহাশৈলাঘনং চৈত্ররথং প্রতি।।'

এখানে সরস্বতী ব্যতীত অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তীক্ষ্ণপ্রবাহী পাহাড়ী নদীর ইঙ্গিত পাওয়া যায় যা সিন্ধু নদে কারাকোরাম, হিন্দুকুশ পর্বত হতে নির্গত হয়ে মিলিত হয়েছে এখানে উত্র নিবাসী শুয়াঙ-- যাত্রা বিবরণ হতে আমরা কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি যাতে পাঠক কূলের উপলব্ধির বিষয়টি সহজতর হয়।

তিনি খুতন হতে সোজা উদ্যান' এসেছিলেন। তাঁর মতে "... কোহাই-এর দ্বিতীয় বর্ষের মাসে ২৯তম তিথিতে আমরা যারকিঙ্গ (?) রাজ্য উপস্থিত হই। এই স্থানের জনগণ পর্বতীয় অঞ্চলে নিবাস করেন।'

অষ্টম মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁরা কবন্ধ দেশে উপস্থিত হন এবং ছয় দিন পথ চলার পরে 'সাঙ্গলিঙ্গ' পর্বতের অঞ্চল অতিক্রম করে তিনদিন আরও অতিবাহিত হলে 'কিউএউ' নগরে উপস্থিত হন। সেই স্থান হতে আরও তিনদিন পরে 'পূহোই' পর্বতমালা পৌঁছায়।

কথিত আছে এই স্থানের একটি পর্বতীয় হৃদে একটি নাগ নিবাস করত। পূর্বকালে এক শ্রেষ্ঠী রাত্রিকালে সেই হ্রদের তীরে উপস্থিত হন। সেই সময় নাগটি অত্যন্ত কুপিত হয়ে সেই শ্রেষ্ঠীকে হত্যা করে। 'প্যংটো' রাজ্যের রাজা এই সংবাদ শ্রবণপূর্বক অত্যন্ত মর্মাহত হন এবং সেই পাপী নাগকে উচিত শিক্ষা প্রদানের অভিপ্রায়ে নিজ রাজপুত্রকে রাজসিংহাসনে আসীমন করে মন্ত্র শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে উদ্যান জনপদ চলে যায়। সেখানে চার বর্ষ অতিবাহিত করার পরে 'মন্ত্র জ্ঞান' অর্জন পূর্বক নিজ রাজ্য প্রত্যাবর্তন করে সেই নাগের প্রতি মন্ত্র প্রয়োগ করলে নাগ মনুষ্য রূপ ধারণ পূর্বক রাজার সম্মুক্ষে উপস্থিত হন এবং নিজ কৃর্তকর্মের জন্য অনুতাপ করতে থাকে। ফা-হিয়েন এই অঞ্চলের উপস্থিত হলে এই কাহিনীটি স্থানীয় জনগণের নিকট হতে শ্রবণ করেছিলেন। তারা তাঁকে আরও বলেছিলেন সে তাঁরা বৌদ্ধ মতাবলম্বী। কিন্তু তাঁরা কোন নিকায়ের অন্তর্গত ফা-হিয়েন উদ্দেশ্য করেননি। তবে ফা-হিয়েন উল্লেখ করেছেন যে এই অঞ্চলটি সিঙ্গচাব (সিঙ্গচাও)-এর অন্তর্গত 'চাঙ্গ-কাঙ্গ' প্রদেশে এর সীমান্তবর্তী অঞ্চল।

সেই সময় সেই প্রদেশের শাসক 'লেত্র' অত্যন্ত নিষ্ঠাবান এবং দৃঢ়ভাবে বৌদ্ধ মতাবলম্বী ছিলেন। তিনি যখন সংবাদ পেলেন সে এক বৌদ্ধ এমন যিনি ভারতবর্ষ ভ্রমণ করেছেন এবং সেই দেশ হতে অনেক ধর্মপুস্তক সংগ্রহ করে নদীপথে তাঁর প্রদেশে উপস্থিত হয়েছেন। রাজা তখন ফা-হিয়েনকে অত্যন্ত সমাদর পূর্বক রাজধানীতে নিয়ে আসেন। তিনি ফা-হিয়েন নিকট বৌদ্ধ ধর্মপুস্তক এবং বুদ্ধের চিত্র অবলোকন করে অত্যন্ত উল্লসিত হন। সেখানে রাজার অনুরোধে তিনি কিছুদিন সেইস্থানে অবস্থান করেছিলেন। এদিকে শ্রেষ্ঠীগণও ফা-হিয়েনকে পরিত্যাগ পূর্বক যাঙ্গচাঙ-এর পথে অগ্রসর হন এবং ফা-হিয়েন প্রায় এক বৎসরকাল রাজা লেত্রর রাজধানীতে ছিলেন, যদিও তাঁর অভিপ্রায় ছিল সে তিনিও 'চাঙ-আন' চলে যাবেন। কারণ চাঙ-আন-এর ভিক্ষুদের নিকট হতে তিনি ১৫ বৎসর দূরে সময় অতিবাহিত করেছিলেন, ফলে তাঁদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়টিও অতীব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সর্বোপরি উক্ত বৌদ্ধ গ্রন্থ সমূহ অনুবাদের বিষয়টিও আবশ্যক হয়ে পড়েছিল। ফলে তিনি 'সিঙ্গচাব' হতে বিদ্যায় নিয়ে দক্ষিণ প্রান্তে চলে যান। দক্ষিণ প্রান্তের পূর্বভাগ (অংশ) নানচিত্ এর পূর্ব অঞ্চলে শান রাজ্যের রাজধানী ছিল। সেইস্থানে সেই সময় ভারতবর্ষের এক মহান বৌদ্ধভিক্ষু বুদ্ধভদ্র অবস্থান রত ছিলে না সেখানে অবস্থান কালে ফা-হিয়েন অনেক গ্রন্থের অনুবাদ, যা তিনি ভারতবর্ষ হতে সংগ্রহ করেছিলেন, চীনা ভাষাতে করেন। তিনি 'চাঙ-আন' প্রদেশে, সে স্থান হতে তিনি তাঁর যাত্রা আরম্ভ করেছিলেন সেখানে প্রত্যাবর্তন করতে পারেননি। 'নানচিত্'- তিনি তাঁর অনুবাদ কার্য যতটা সম্ভব সম্পূর্ণ করেছিলেন এবং সেখানে 'শান' এর একটি সংঘারামে ৮৮ বর্ষ কালে এই সংসার হতে বিদায় নেন।

ফা-হিয়েনের যাত্রা বিবরণ (ফা-কুয়ো-চিঙ) অধ্যয়ন করলে এই সত্যে উপনীত হওয়া যায় যে এই যাত্রা বিবরণ তাঁর স্ব-হস্তে লিখিত নয়। চীন দেশে উপস্থিত হয়ে তিনি তাঁর যাত্রা বিবরণ কোনো এক জন বৌদ্ধ ভিক্ষু অথবা মিত্রকে বলেছিলেন, যিনি তা স্মরণ করে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে স্থান-কাল-পাত্র এবং পরিমাণের প্রশ্নে বিভ্রান্তি দৃষ্ট হয়। শুধু তাই নয় তিনি সে সকল নদী অতিক্রম করেছিলেন তার সঠিক উল্লেখও বিবরণে পাওয়া যায় না। ৪০ পর্বের এই যাত্রা বিবরণ পাঠ করে অনেকেই মনে করেছেন যে তিনি তাঁর যাত্রা বিবরণ স্বয়ং লিপিবদ্ধ করেছেন এবং 'লেগী' মহাশয়ের অনুবাদ এইরূপ করেছেন যে-

'... And therefore he wrote out an account of his experience that worthy readers might share with him what he had heard and seen.'

তবে চীনা ভাষায় লিপিবদ্ধ মূল এইরূপ কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি সে উক্ত গ্রন্থটি তিনি স্বয়ং রচনা করেছেন সর্বোপরি উক্ত গ্রন্থের সম্পূর্ণ বাক্য সমূহ 'সর্বনাম'হীন। 

এই বিবরণ অতি সংক্ষিপ্ত অবলোকন করে অনেকে এও মনে করেছেন যে ফা-হিয়েন এর অন্য কোনো পৃথক পরিপূর্ণ গ্রন্থ বিবরণ রয়েছে। স্বয়ং 'লেগী' মহাশয় তাঁর গ্রন্থের ভূমিকাতে বলেছেন-

'... it is added that there is another larger work giving an account of his travels with in various countries... if there were ever another and large account of Fa-hien's travels then the narrative of which a translation is now given, it his long ceased to be in existence.'

[ফা-হিয়েন' এর ভ্রমন বৃত্তান্ত (ফো-কুয়ো-চিঙ) অনুসারে বঙ্গ দেশে বৌদ্ধ ধর্ম সহ উক্ত অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোর বিস্তারিত বিবরণ দেখা যায় হয়।

সমতট হতে পশ্চিমে প্রায় শত লী (চৈনিক পরিমাপ) পথ অতিক্রম করার পরে ফা-হিয়েন তাম্রলিপ্ত (বর্তমান তমলুক) উপস্থিত হন এই রাজ্য পূর্ব ভারতে উপস্থিত ছিল (বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুর)

তাম্রলিপ্তর পরিধি প্রায় হাজার শত লী ছিল। এর রাজধানীর পরিধি দশক লী ছিল। সমুদ্রের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এই অঞ্চল যথেষ্ট সমৃদ্ধ এবং জলবায়ু উষ্ণ ছিল। এই অঞ্চলের জনগণ বৌদ্ধ ধর্ম এবং অন্য ধর্মকেও গুরুত্বপ্রদান করতেন। ২০ হতে অধিক সংঘারাম এবং প্রায় হাজারের অধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু ধর্মপ্রচার কাছে নিযুক্ত ছিলেন। দেব-মন্দিরের সংখ্যা প্রায় ৪০ টি ছিল। সমুদ্র তটে উপস্থিত হওয়ার কারণে এই রাজ্য হতে জল এবং স্থল পক্ষে যাতায়াতের সুবিধা ছিল।

রাজধানীর সমীপে একটি অশোক স্তূপ ছিল। স্তূপের নিকট ৪টি পূর্ব বুদ্ধের আসন এবং চংক্রমনের অবশেষ ছিল।

ফা-হিয়েন এই তাম্রলিপ্ত বন্দর হতে সমুদ্রপথে প্রায় হাজার লী অতিক্রম করার পথে সিংহল দ্বীপে উপস্থিত হন। সিংহল ৭হাজার হতে অধিক লী ভূ-ভাগ বেষ্টিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। রাজধানীর পরিধি প্রায় ৪০ লী ছিল। ভূমি উর্বর, জলবায়ু উষ্ণ ছিল। অতীতে সিংহলে অন্য ধর্মের গুরুত্ব ছিল। ভগবান বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের পরে সম্রাট অশোক এর পুত্র মহেন্দ্র দ্বারা উক্ত দ্বীপ রাষ্ট্রে বৌদ্ধ বৌদ্ধধর্ম মূলধন রূপে প্রচারিত হয় সাংস্কৃতিক তথা আন্তজার্তিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। রাজ্যে কয়েক শত সংঘারাম এবং ২০ হাজারের অধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু যারা হীনযান (স্থবিরবাদী) ছিলেন তথা ত্রিপিটক অধ্যয়নের প্রতি বিশেষভাবে জোর দিতেন। ভিক্ষুগণ শীলবান এবং অনুশীলন পরায়ন ছিলেন। ফা-হিয়েন বুদ্ধ-দন্ত বিহারেরও বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করেছিলেন। সিংহল দ্বীপে কিছুদিন অতিবাহিত করার পরে ফা-হিয়েন সমুদ্রপক্ষে পুনঃ চীন দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।

ফা-হিয়েন বিরচিত 'ফো-কুয়ো-চি' ভারতবর্ষ সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বৌদ্ধধর্ম তথা অন্যান্য জনপদের ইতিহাস বিবরণের এক উজ্জ্বল উদ্ধার। কারণ উক্ত তথ্যের প্রতি ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে শুয়াং জাঙ এবং শ্যেন্চী (সেন্ চী) ভারতবর্ষে পদার্পণ করেছিলেন সে বষয়ে কোনরূপে সন্দেহের অবকাশ নেই।

'চরঞ্চে নাধিগচ্ছেয্য, যেয্যং সরিসমত্তনো।

এক চরিয়ং দলং কয়িরা, নথি বালে সহায়তা।।২।। - ধম্মপদ, বালবর্গ

চৈনিক পরব্রাজক ফা-হিয়েন গ্রন্থটি অত্যন্ত উপাদেয় এবং ইতিহাস নির্ভর। খড়ি প্রকাশনী দীর্ঘদিন পর গ্রন্থটি পুনঃপ্রকাশ সকলের ধন্যবাদার্হ হয়েছেন। গ্রন্থটির বহুল প্রচার কামনা করি। অলং ইতি বিথারেন।

 

কোলকাতা

২৬. ১২. ২০২৩

সুমনপাল ভিক্ষু

অতিথি অধ্যাপক

পালি বিভাগ

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

No comments:

Post a Comment