বিজ্ঞাপন নিয়ে
ড. চন্দন বাঙ্গাল
'বিজ্ঞাপন' বিষয়টি অতীব জটিল অথচ গুরুত্বপূর্ণ একটি গণজ্ঞাপন অথবা 'বিশেষভাবে জ্ঞাপন' কিংবা সেই আশ্চর্য প্রদীপ যা মানবজীবনের প্রতিটি রঙ্গবিতানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন বলা যেতে পারে আবার না বলেও বলা যেতে পারে......।
'কাঁধে বন্দুক, তালিবানি আমোদ নো-এন্ট্রি! অন্তর্দ্বন্ধ? জালালাবাদ, ফুল বদল গ্রহরত্ন! কুমোরটুলি' মৌসুমি অক্ষরেখা বৈধ বাল্যবিবাহ? কাণ্ডারী হুশিয়ার কিংবা দুই হুজুরের গপ্পো.......প্যাসিরাসের জন্য জীবন দর্শন হেলমেট নেই কেষ্ট বাহুবলী উপাচার্য নিভৃতির কাব্য ডিজিটাল হোডিং।
ড. চন্দন বাঙ্গালের 'বিজ্ঞাপন নিয়ে' নামক কৃষকায় অথচ মূল্যবান একটি গ্রন্হ প্রকাশিত হয়েছে ২০২১' এর জুলাইতে প্রকাশক 'অক্ষর বৃত্ত'। বিজ্ঞাপন জগতের নানা অজানা এবং মূল্যবান তথ্য উঠে এসেছে ছবির মতো। বিজ্ঞাপন সৃষ্টি, প্রয়োজন, অপ্রয়োজন ইত্যকার বিষয়গুলিকে লেখক কোলাজ শিল্পীর ন্যায় সমাজের ক্যানভাসে বিক্ষিপ্ত করে সাজিয়েছেন। সামাজিক বিষয় সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল বিজ্ঞাপনের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্ধী হয়ে উঠেছে তাও চন্দন বাবুর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে হয়ে উঠেছে এক দুর্মূল্য প্যাপিরাস। তিনি তাঁর লেখায় বিজ্ঞাপনের শিশুকাল হতে পরিণত হয়ে ওঠার যে সুদীর্ঘ যাত্রাপথ, তাও তুলে ধরেছেন। বিজ্ঞাপন জগতে সত্যজিৎ রায়, ঋতুপর্ণের ভাবনা গুলিও উপহার দিয়েছেন কৌতুহলী পাঠককে। তবে নারায়ণ কবে নাম, রেবতীভূষণ, শৈল চক্রবর্তী কিংবা পি সি এল' প্রমুখের বিজ্ঞাপন চর্চার সুদীর্ঘ পরিশ্রম না জানি কোন এক অজ্ঞাত কারণে এই গ্রন্হে আলোচিত হয় নি, হয়তো গ্রন্হভার বৃদ্ধির কারণে লেখক বিষয়টিকে উহ্য রেখেছেন।
তবে বিজ্ঞাপনের অনেক ইতিহাস যেভাবে তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন, তা সত্যই বিষ্ময়ের এক অনুভূতি নির্মাণ করে। গ্রন্হের প্রচ্ছদ পরিকল্পনায় কোন নান্দনিক তথ্য দৃষ্ট হয় না। প্রচ্ছদ নিয়ে আরও ভাবনা চিন্তার অবকাশ হয়তো ছিল। তবুও বলতে পারি সব নিয়ে সংগ্রহটি হয়ে উঠেছে পাঠকের ভাবানার দর্পন। সর্বোপরি গ্রন্হের পৃষ্ঠা সংখ্যা ১১২, কিন্তু লেখক কোনো অর্থেই গ্রন্হটিকে সমাপ্তির বন্ধনে আবাদ করেন নি তাই সংকলনটি কবির ভাষায় বলতে পারি 'হেমন্তের অরণ্যে আমি পোষ্টম্যান'।
No comments:
Post a Comment